সারাদেশে বিগত সরকারের শাসনামলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সারাদেশে সংঘটিত সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও বিচারবিভাগসহ বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে তদস্থলে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং মন্ত্রী-এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিগত সরকারের আমলে প্রমোশনবঞ্চিতদের দ্রুত প্রমোশন দেওয়া ও সম্মানজনক পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। জোরপূর্বক অবসরপ্রাপ্তদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের সমর্থনে আরব আমিরাতে বিক্ষোভকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে সম্মানজনক পুনর্বাসন করতে হবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতি সচল করার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
জামায়াতের আমীর বলেন, দেশের এই কঠিন মুহূর্তে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও সহায়-সম্পদে হামলা চালিয়ে কোনো কুচক্রী মহল যাতে পানি ঘোলাটে করতে না পারে, সেজন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে আসছে। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছে, সেজন্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের পাহারা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
আমীর বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির প্রশাসনকে সর্বতোভাবে সহযোগিত করে যাবে ইনশাআল্লাহ।