এই মুহুর্তে ভোট হলে আপনি কাকে ভোট দেবেন?– এমন প্রশ্নে অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউবে ভোট জরিপ চালিয়েছেন লেখক ও স্যোশাল অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জরিপে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী লীগ, ‘অভ্যুত্থানকারীদের নতুন দলের (যদি হয়)’ মধ্যে এ ভোটের আয়োজন করা হয়।
দেখা গেছে, জরিপে ভোট দিয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের নতুন দল হলে- এমন প্রশ্নে মানুষ এই দলটিকেও সমর্থন জানায়। আর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারানো শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে এসেছে। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হলেও মানুষ দলটিকে সেভাবে সমর্থন দেয়নি।
আরও দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আস্থা রেখেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে ১৬ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। আর জরিপে ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানেব রয়েছে বিএনপি। সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের নতুন দল হলে কেমন ভোট পাবে- এমন প্রশ্নে দলটি পেয়েছে ১২ শতাংশ ভোট।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। এক পর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে সরকার। গত ১৮ জুলাই সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ও ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। তারপরও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যায়নি।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতা গণভবন অভিমুখী যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ওইদিন দুপুরে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। পরে সাধারণ ছাত্র-জনতা অর্ন্তবর্তীকালীন ড. ইউনুসকে প্রধান করে অন্তবর্তী সরকার গঠন করে। এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেন।