সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

টিআইবির জরিপে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত পাসপোর্ট, এরপর কোনগুলো

বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হলেও ২০২৩ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেমন দুর্নীতি হয়েছে তা প্রকাশ করেছে  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ গবেষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালে সালে বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় পাসপোর্ট অফিস শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিআরটিএ ও তৃতীয় স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। এই তিন খাতে ঘুষও নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা এবং ঘুষের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা; সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।

২০২৩ সালে সার্বিকভাবে খানাগুলো গড়ে পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছে: গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।

২০২৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ১.৪৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপি’র শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।

টিআইবির খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবাখাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।

বিচারিক সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চ হার অব্যাহত, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা; অন্যদিকে ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএ’র মতো সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষ বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।

আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ