
সুদানের এল-ফাশের শহরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৮ জনকে হত্যা করেছে আধাসামরিক বাহিনী। স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আধাসামরিক যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক যৌন সহিংসতার অভিযোগও করেছে।
এল-ফাশেরের ত্রাণ সমন্বয়কারী স্বেচ্ছাসেবী স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানীর কেন্দ্রস্থল লক্ষ্য করে চারটি উচ্চ-বিস্ফোরক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ড্রোন দিয়ে এসব ছোড়া হয়।
রোববার এই হামলার আগে গত শুক্রবার সুদানে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় ৯ জন নিহত হন। এরপর নতুন করে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক্স-এ এক পোস্টে সুদানজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে হামলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। এটি দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। ১১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
দারফুরের প্রায় পুরোটাই এখন আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত। তারা দক্ষিণ করদোফান অঞ্চল এবং মধ্য সুদানের সোয়াপও দখল করে নিয়েছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনী উত্তর ও পূর্ব দিকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ এনেছে।
‘যৌন সহিংসতার মহামারী’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সুদানের সংঘাতে ‘ব্যাপক যৌন সহিংসতা’র বিষয়টি তুলে ধরেছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরতদের ‘জঘন্য’ কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করেছে। এটি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে বলেও জানানো হয়।
এইচআরডব্লিউ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ কোর্দোফান রাজ্যে সাত থেকে ৫০ বছর বয়সী নারী ও মেয়েদের লক্ষ্য করে গ-ণ-ধর্ষণ ও যৌন দাসত্বসহ কয়েক ডজন সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের অনেককে তাদের বা তাদের প্রতিবেশীদের বাড়িতে গ-ণ-ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরিবারের সামনেও এসব নির্যাতন চালানো হয়।