
জামালপুরের মাদারগঞ্জে মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ীর ওপর সমন্বয়কের হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে শুক্রবার দুই সমন্বয়কসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মাদারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে মাদারগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক বাকুরচর গ্রামের মো. হাইদর আলীর ছেলে মো. আনন্দ (২৭), নজরুল ইসলামের ছেলে মো. বিজয় (২৬), মো. কমন মিয়া (২৫), মো. ভান্ডারীর ছেলে মনির (২২)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারগঞ্জ থানা মোড় এলাকায় মৎস্য আড়তের ব্যবসা করে আসছেন বালিজুড়ী এলাকার বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর ছেলে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস (২৯)। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মাছের আড়তের হিসাব-নিকাশ শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চায়ের দোকানের সামনে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে তাকে।
এ সময় তার ডান হাতে থাকা শপিং ব্যাগটির মধ্যে চার লাখ বিশ হাজার ও প্যান্টের পকেটের দুই লাখ ছিনতাই করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে হামলায় আহত ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, হামলাকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক। তারা সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে আসছে।
তিনি আরও জানান, এদের সঙ্গে ১০-১২ জন ছিল। এরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এসআই আশরাফুল ইসলাম তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিললে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।